সূচক (৪.৩)

ষষ্ঠ শ্রেণি (মাধ্যমিক) - গণিত - বীজগণিতীয় রাশি | NCTB BOOK
611
Summary

এই পাঠে 2, 4, 8, 16 সংখ্যা ও তাদের মৌলিক উৎপাদক সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়েছে।

  • 2 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 (একবার) - সূচক 1 ও ভিত্তি 2
  • 4 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 × 2 (দুবার) - সূচক 2 ও ভিত্তি 2
  • 8 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 × 2 × 2 (তিনবার) - সূচক 3 ও ভিত্তি 2
  • 16 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 × 2 × 2 × 2 (চারবার) - সূচক 4 ও ভিত্তি 2

মৌলিক উৎপাদক এবং এর সূচক সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যে কীভাবে কোনো রাশির উৎপাদক গুণনের ফলে সূচক বৃদ্ধি পায়।

অ্যালজেব্রার ঘাত এবং সূচক সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে:

  • যদি একটি সংখ্যাকে n বার গুণ করা হয়, তাহলে তা an রূপে লিখিত হয়, যেখানে n হল সূচক ও a হল ভিত্তি।

উদাহরণসহ গুণনের প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে:

  • am × an = am+n

অতিরিক্ত উদাহরণ ও সমস্যার সমাধান দেখানো হয়েছে, যেখানে সংখ্যা ও অক্ষরের গুণনের ফলাফল নির্ণয় করা হয়েছে।

কিছু সমস্যা সমাধান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

2,4,8,16 ইত্যাদি সংখ্যার মৌলিক উৎপাদক বের করে পাই,

2 = 2,2 আছে 1 বার
4=2×2,2 গুণ আকারে আছে 2 বার
8=2×2×2,2 গুণ আকারে আছে 3 বার
16=2×2×2×2,2 গুণ আকারে আছে 4 বার

কোনো রাশিতে একই উৎপাদক যতবার গুণ আকারে থাকে, সেই সংখ্যাকে উৎপাদকটির সূচক এবং উৎপাদকটিকে ভিত্তি বলা হয়।

লক্ষণীয় যে, 2 এর মধ্যে 2 উৎপাদকটি একবার আছে, এখানে সূচক 1 এবং ভিত্তি 2। 4 এর মধ্যে 2 উৎপাদকটি 2 বার আছে। কাজেই সূচক 2 এবং ভিত্তি 2। আবার, ৪ এবং 16 এর মধ্যে 2 উৎপাদকটি যথাক্রমে 3 বার এবং 4 বার আছে। সেজন্য ৪ এর সূচক 3 ও ভিত্তি 2 এবং 16 এর সূচক 4 ও ভিত্তি 2

ঘাত বা শক্তি

এ একটি বীজগণিতীয় রাশি। একে এ দ্বারা এক বার, দুই বার, তিন বার গুণ করলে হবে:

a×a=a2 যেখানে a2 কে a এর দ্বিতীয় ঘাত বলে এবং a2 কে পড়া হয় এ এর বর্গ

a×a×a=a3 যেখানে a3 কে a এর তৃতীয় ঘাত বলে এবং a3 কে পড়া হয় এ এর ঘন

a×a×a×a=a4 যেখানে a4 কে a এর চতুর্থ ঘাত বলে, ইত্যাদি।

অনুরূপভাবে, এ কে যদি n বার গুণ করা হয় তবে আমরা পাই a ×a×a× ________ × a (n বার) = an। এখানে an কে a এর ॥ তম ঘাত বা শক্তি বলে এবং n হবে ঘাতের সূচক ও a হবে ভিত্তি। সুতরাং a2 এর ক্ষেত্রে a এর ঘাত বা সূচক 2 ও ভিত্তি a; a3 এর ক্ষেত্রে ৫ এর ঘাত বা সূচক 3 ও ভিত্তি a, ইত্যাদি।

সংখ্যার ক্ষেত্রে সূচক থেকে আমরা একটি সূচকমুক্ত ফলাফল পাই, কিন্তু অক্ষরের ক্ষেত্রে সূচক থেকে ফলাফল সূচক আকারেই থাকে।

উদাহরণস্বরূপ,

23+32=2×2×2+3×3=8+9=17

a4+24=a×a×a×a+2×2×2×2×2=a4+16

উদাহরণ ৮। সরল কর:

(i) a x a2  (ii) a3 x a2  (iii) a x a3

সমাধান:

(i)a×a2=a×a×a=a3(ii)a3×a2=(a×a×a)(a×a)=a×a×a×a×a×a×a=a5(iii)a4×a3=(a×a×a×a)(a×a×a)=a×a×a×a×a×a×a×a=a7

লক্ষ করি:

a×a2=a1×a2=a3=a1+2a3×a2=a5=a3+2a4×a3=a7=a4+3

সুতরাং, আমরা লিখতে পারি, am × an = am+n m ও n স্বাভাবিক সংখ্যা। গুণনের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় সূচকের গুণনবিধি।

কোনো সংখ্যার ঘাত বা শক্তি 1 হলে, সংখ্যাটির সূচক 1 লেখা হয় না। যেমন, a=a1,x=x1 ইত্যাদি।

উদাহরণ ৯। গুণ কর:

(i) a4×a5  (ii) x3 × x8  (iii) x5 × x9

সমাধান:

(i)a4×a5=a4+5=a9(ii)x3× x8=x3+8=x11(iii)x5×x9=x5+9=x14

উদাহরণ ১০। সরল কর:

(i) 2a×3b2 × 4c × 6a2 ×5b3 (ii) a×a×a×b×c×b×c×a×c×b.

সমাধান:

(i) 2a×3b2×4c×6a2×5b3=(2a×6a2)×(3b2×5b3)×4c
=2×6×a1+2 × 3×5×b2+3 × 4c=12a3×15b5 × 4c=(12×15×4)a3b5c=720a3b5c.

(ii)

a×a×a×b×c×b×c×a×c×b =(a×a×ax×a) × (b×b×b) × (c×c×c) = a4b3c3.

উদাহরণ ১১ । a = 1 , b = 2 , c = 3 হলে, নিচের রাশিগুলোর মান নির্ণয় কর:

(i)a2+b2+c2(ii) a2 + 2ab-c

সমাধান:

(i)a2+b2+c2=12+22+32=1+2×2+3×3= 1 + 4 + 9 = 14

(ii) a2+2ab-c=12+2.1.2-3=1+4-3=5-3-2.

কাজ: ১।

সরল কর:

(i)a×a3(ii)a3×a5(iii)a9×a6

২। a = 2 হলে, 2a3×3a2 এর মান নির্ণয় কর।

৩। x কে mবার গুণ করে ঘাত, সূচক ও ভিত্তি লেখ (m স্বাভাবিক সংখ্যা)।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...