Summary
এই পাঠে 2, 4, 8, 16 সংখ্যা ও তাদের মৌলিক উৎপাদক সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়েছে।
- 2 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 (একবার) - সূচক 1 ও ভিত্তি 2
- 4 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 × 2 (দুবার) - সূচক 2 ও ভিত্তি 2
- 8 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 × 2 × 2 (তিনবার) - সূচক 3 ও ভিত্তি 2
- 16 এর মৌলিক উৎপাদক: 2 × 2 × 2 × 2 (চারবার) - সূচক 4 ও ভিত্তি 2
মৌলিক উৎপাদক এবং এর সূচক সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যে কীভাবে কোনো রাশির উৎপাদক গুণনের ফলে সূচক বৃদ্ধি পায়।
অ্যালজেব্রার ঘাত এবং সূচক সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে:
- যদি একটি সংখ্যাকে n বার গুণ করা হয়, তাহলে তা an রূপে লিখিত হয়, যেখানে n হল সূচক ও a হল ভিত্তি।
উদাহরণসহ গুণনের প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে:
- am × an = am+n
অতিরিক্ত উদাহরণ ও সমস্যার সমাধান দেখানো হয়েছে, যেখানে সংখ্যা ও অক্ষরের গুণনের ফলাফল নির্ণয় করা হয়েছে।
কিছু সমস্যা সমাধান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
2,4,8,16 ইত্যাদি সংখ্যার মৌলিক উৎপাদক বের করে পাই,
2 = 2,2 আছে 1 বার
4=22,2 গুণ আকারে আছে 2 বার
8=222,2 গুণ আকারে আছে 3 বার
16=2222,2 গুণ আকারে আছে 4 বার
কোনো রাশিতে একই উৎপাদক যতবার গুণ আকারে থাকে, সেই সংখ্যাকে উৎপাদকটির সূচক এবং উৎপাদকটিকে ভিত্তি বলা হয়।
লক্ষণীয় যে, 2 এর মধ্যে 2 উৎপাদকটি একবার আছে, এখানে সূচক 1 এবং ভিত্তি 2। 4 এর মধ্যে 2 উৎপাদকটি 2 বার আছে। কাজেই সূচক 2 এবং ভিত্তি 2। আবার, ৪ এবং 16 এর মধ্যে 2 উৎপাদকটি যথাক্রমে 3 বার এবং 4 বার আছে। সেজন্য ৪ এর সূচক 3 ও ভিত্তি 2 এবং 16 এর সূচক 4 ও ভিত্তি 2
ঘাত বা শক্তি
এ একটি বীজগণিতীয় রাশি। একে এ দ্বারা এক বার, দুই বার, তিন বার গুণ করলে হবে:
যেখানে a2 কে a এর দ্বিতীয় ঘাত বলে এবং a2 কে পড়া হয় এ এর বর্গ
যেখানে a3 কে a এর তৃতীয় ঘাত বলে এবং a3 কে পড়া হয় এ এর ঘন
যেখানে a4 কে a এর চতুর্থ ঘাত বলে, ইত্যাদি।
অনুরূপভাবে, এ কে যদি n বার গুণ করা হয় তবে আমরা পাই ________ (n বার) = an। এখানে an কে a এর ॥ তম ঘাত বা শক্তি বলে এবং n হবে ঘাতের সূচক ও a হবে ভিত্তি। সুতরাং a2 এর ক্ষেত্রে a এর ঘাত বা সূচক 2 ও ভিত্তি a; a3 এর ক্ষেত্রে ৫ এর ঘাত বা সূচক 3 ও ভিত্তি a, ইত্যাদি।
সংখ্যার ক্ষেত্রে সূচক থেকে আমরা একটি সূচকমুক্ত ফলাফল পাই, কিন্তু অক্ষরের ক্ষেত্রে সূচক থেকে ফলাফল সূচক আকারেই থাকে।
উদাহরণস্বরূপ,
উদাহরণ ৮। সরল কর:
সমাধান:
লক্ষ করি:
সুতরাং, আমরা লিখতে পারি, m ও n স্বাভাবিক সংখ্যা। গুণনের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় সূচকের গুণনবিধি।
| কোনো সংখ্যার ঘাত বা শক্তি 1 হলে, সংখ্যাটির সূচক 1 লেখা হয় না। যেমন, ইত্যাদি। |
উদাহরণ ৯। গুণ কর:
সমাধান:
উদাহরণ ১০। সরল কর:
সমাধান:
(ii)
উদাহরণ ১১ । a = 1 , b = 2 , c = 3 হলে, নিচের রাশিগুলোর মান নির্ণয় কর:
সমাধান:
কাজ: ১। সরল কর: ২। a = 2 হলে, এর মান নির্ণয় কর। ৩। x কে mবার গুণ করে ঘাত, সূচক ও ভিত্তি লেখ (m স্বাভাবিক সংখ্যা)। |
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
2a, 5b, 3b 2 c তিনটি বীজগাণিতিক রাশি
a = 2
b = 3
c = 1